ফেসবুক অ্যাডস কী অনলাইন ব্যবসায়ের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ?

Created by UY LAB in Digital Marketing 14 Mar 2024
Share

ফেসবুকে একটি অনলাইন ব্যবসায় শুরু করা তুলনামূলকভাবে সহজ এবং কম খরচ, তাই অনেকে ফেসবুকে বিভিন্ন ধরনের ব্যবসায় শুরু করে থাকেন। আজকাল ফেসবুকে সকল ধরনের ছোট বড় এফ-কমার্স ব্যবসায় রয়েছে, যা সময়ের সাথে সাথে প্রতিনিয়ত বেড়ে চলেছে। ফেসবুক অ্যাডস (Facebook Ads) এই ব্যবসায়গুলোর সাফল্যের অন্যতম চাবিকাঠি।


ইন্টারনেট বা অনলাইন ব্যবসায় আজকাল সবচেয়ে আলোচিত বিষয়গুলির মধ্যে একটি। সাধারণত ইন্টারনেটের মাধ্যমে ব্যবসায় বা ব্যবসায়িক কার্যক্রম চালানোকে অনলাইন ব্যবসায় বলা হয়। সমস্ত অনলাইন ব্যবসায়িক প্ল্যাটফর্মের মধ্যে Facebook সবচেয়ে জনপ্রিয় এবং বহুল ব্যবহৃত প্ল্যাটফর্মগুলির মধ্যে একটি।


তাই যারা ইতিমধ্যে ফেসবুকে বিজনেস করেন বা ভবিষ্যতে করবেন বলে ভাবছেন তাদের জন্য ফেসবুক এডস সম্পর্কে জানা অতিব জরুরি। তাই আজকের আটিকেলটির মূল বিষয় হচ্ছে ফেসবুক এডস কী এবং কীভাবে ফেসবুক এডস বিজনেসে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।


ফেসবুক অ্যাডস ক্যাম্পেইন কী?


আপনি জেনে অবাক হবেন যে, বাংলাদেশে বর্তমানে ৬ কোটি ৭২ লক্ষ ৪৫ হাজার ফেসবুক ব্যবহারকারী রয়েছে। এটি বাংলাদেশের মোট জনসংখ্যার এক তৃতীয়াংশেরও বেশি। গড়ে ২.৪১ শতাংশেরও বেশি মানুষ ফেসবুক, হোয়াটসঅ্যাপ, ইনস্টাগ্রাম ইত্যাদির মতো বিভিন্ন সামাজিক মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম ব্যবহার করেন থাকেন। আর স্মার্ট উদ্যোক্তারা এই সুযোগের সদ্ব্যবহার করে অনলাইন ব্যবসায় গড়ে তুলেছে। আপনি যেভাবে ব্যবসায়ের সম্প্রসারণ, ব্র্যান্ডিং, সচেতনতা বা বিক্রয় বাড়াতে চান না কেন, আপনাকে ফেসবুক এডস ক্যাম্পেইন চালু করতেই হবে।


Facebook Ads Campaign হলো - আপনার কোন প্রোডাক্ট বা সার্ভিস ফেসবুক পেইড মার্কেটিংয়ের মাধ্যমে টার্গেটেড অডিয়েন্সদের কাছে পৌঁছে দেওয়ার মাধ্যম। ফেসবুকে অ্যাডস শুরু করার আগে আপনাকে অ্যাডস ক্যাম্পেইন চালু করতে হবে। সেখানে প্রয়োজনীয় ইনফরমেশন দিয়ে দিতে হবে যাতে বোঝা যায়, আপনার ফেসবুকে অ্যাডস দেওয়ার উদ্দেশ্য বা অবজেক্টিভ টা কি এবং আপনি কি ধরণের অডিয়েন্সদের কাছে আপনার প্রোডাক্ট বা সার্ভিসটি পৌঁছাতে চাচ্ছেন।


আপনি যদি আপনার পেজের লাইক সংখ্যা বাড়াতে চান, তাহলে ফেসবুক পেজ লাইক ক্যাম্পেইনের অবজেক্টিভটা সিলেক্ট করুন। এটি Facebook ম্যানেজারকে জানাবে বা বুঝতে সাহায্য করবে যে, আপনি লাইক বাড়াতে চান আপনার পেজে অ্যাডস ক্যাম্পেইনের মাধ্যমে। ফলস্বরূপ, আপনার অ্যাডসের অবজেক্টিভটি পেজে লাইকের সংখ্যা বাড়ানোর জন্য ডিজাইন করা হবে। এরকম আরো অনেক অবজেক্টিভ আছে। আপনি চাইলে রিচ, ট্র্যাফিক জেনারেট ইত্যাদি অবজেক্টিভ সিলেক্ট করতে পারেন। একটি ফেসবুক এডস ক্যাম্পেইন প্রচারের তিনটি অংশ থাকে। যেমন - সচেতনতা, মনোযোগ এবং কনভারশন। আবার এর ভেতর অবজেক্টিভ রয়েছে ১১টি।


আপনি কোন উদ্দেশ্য নিয়ে ফেসবুক এডস ক্যাম্পেইন রান করাতে চাচ্ছেন, সে অনুযায়ী অবজেক্টিভ সিলেক্ট করতে হবে। এভাবে আপনার বিজনেস এর উদ্দেশ্য অনুযায়ী আপনি Facebook ADS Campaign চালু করে ফেলতে পারেন।


ফেসবুক অ্যাডস এর মাধ্যমে কীভাবে প্রোমোট করা হয়?


আপনার যদি ফেসবুক এডস সম্পর্কে ভালো ধারণা থাকে এবং সঠিক ভাবে এটি প্রয়োগ করতে পারেন, তবে আপনার প্রোডাক্ট বা সার্ভিসের বিক্রয় বৃদ্ধির সম্ভাবনা বহুগুণে বেড়ে যাবে। একটি পণ্য বিক্রির মতো জটিল কাজগুলি ফেসবুক এডস ব্যবহার করে সহজেই সেরে ফেলা যায়। ফলে বিশ্বজুড়ে ছোট থেকে মাঝারি ব্যবসায়ীদের কাছে এই মেথড খুবই জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। Facebook অ্যাডসগুলি ব্যবসায়ের জন্য কম সময়ে বেশি পরিমাণ টার্গেটেড অডিয়েন্সদের পৌঁছানোর একটি দুর্দান্ত মাধ্যম। এর কারণ সোশ্যাল মিডিয়া প্লাটফর্মের মধ্যে সবচেয়ে বেশি অডিয়েন্স ফেসবুকে রয়েছে।


ফেসবুকের অত্যাধুনিক এলগরিদমের সহযোগিতায় ফেসবুক নিজেই টার্গেটেড অডিয়েন্স এর  কাছে প্রোডাক্ট বা সার্ভিসের এড তুলে ধরতে পারে। এক্ষেত্রে কোনো অডিয়েন্স বা কাস্টমার প্রোডাক্টের নাম বা ধরন সার্চ করলে কিছুক্ষনের মধ্যেই তার ফেসবুক প্রোফাইলে উক্ত পণ্যের এডস চলে আসে। এতে করে একটি বড় রকমের সুযোগ রয়েছে আপনার পণ্য বা সার্ভিস টার্গেটেড অডিয়েন্স এর কাছে সেল হওয়ার।


অনলাইন বিজনেসে ফেসবুক অ্যাডসের গুরুত্ব


ফেসবুক অ্যাডসের মাধ্যমে আপনি আপনার অ্যাডসে কতজন ক্লিক করেন, কতজন লাইক করেন, আপনার বাজেট কত এবং অ্যাডসের পিছনে কত টাকা খরচ হয়েছে, তার উপর ভিত্তি করে আপনি সহজেই আপনার ব্যবসার প্রচার করতে পারেন। একজন ক্লায়েন্ট আপনার এডস দেখে ইন্টারেস্টেড হয়ে আপনার পেজ ভিজিট করেন বিস্তারিত তথ্য জানার জন্য। ক্লাইয়েটদের কনভেন্স করে আপনি আপনার কাঙ্ক্ষিত সেলস জেনারেট করতে পারেন। ফেসবুকের মার্কেটিং মূলত প্রোডাক্টের অ্যাওয়ারনেস বাড়ানোর জন্য হলেও, সঠিক গ্রাহকের কাছে আপনার পণ্যের অ্যাডসকে পৌঁছে দেওয়া প্রয়োজন।


আপনার এডসটি যে-কোনো নির্দিষ্ট দেশে, নির্দিষ্ট জায়গায় দেখানো যেতে পারে। কতজন লোক আপনার অ্যাডসটি দেখবে তা নির্ভর করে আপনি কীভাবে আপনার এডসের প্যারামিটার সেট করেছেন তার উপর, এবং আপনার অডিয়েন্সের ইন্টারেস্টের উপর। 


ফেসবুক সর্বদা চেষ্টা করে যাতে তার অ্যাডসগুলি সর্বাধিক সংখ্যক ব্যবহারকারীর কাছে পৌঁছায়। এই রিচ শুধুমাত্র আপনার পেজে লাইক বা সেলস বাড়ায় না, আপনার কোম্পানির পরিধিকেও বড় করে। সেই সাথে, আপনার কাঙ্ক্ষিত ক্রেতা খুঁজে বের করার কাজটিও হয়ে যাবে। নির্ধারিত বাজেটের মধ্যে সর্বোচ্চ পরিমান সেলস জেনারেট করতে হলে আপনার এডস অপ্টিমাইজেশন করা অত্যাবশ্যক। ফেসবুক এডস অপটিমাইজেশনের পাশাপাশি আপনার অডিয়েন্সকে সর্বোচ্চ প্রায়োরিটি সার্ভিস দিতে হবে। মূলত, ফেসবুক এডস টার্গেটিং ব্যবহারকারীদের দেশ, বয়স, লিঙ্গ, পেশা, ইন্টারেস্ট এবং ভাষার উপর ভিত্তি করে নির্ধারিত হয়। এতে করে বুঝায় যায় যে, আপনার বিজনেসের ভালো সেলের জন্য ফেসবুক ক্যাম্পেইন বা অ্যাডস খুবই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।


ফেসবুক প্রোফাইলের মাধ্যমে


বর্তমানে অনেকে কোম্পানির নামে প্রোফাইল ক্রিয়েট করে নিজের ব্যবসাকে গ্রো করছে। যা একবারেই ভিত্তিহীন ও আন-প্রফেশনাল হওয়ায়, এটি মানুষের কাছে বিরক্তির কারণ হয়ে দাঁড়াচ্ছে। তবে এক্ষেত্রে ব্যক্তির নামে প্রোফাইল তৈরি করা যায়। এতে কোনো সমস্যা নেই! কারণ এটি ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানের প্রতি মানুষদের আস্থা তৈরি করতে বেশ কার্যকর ভূমিকা পালন করে।


এর পাশাপাশি ফেসবুকে ব্যবসায়িক পণ্যের কিংবা সেবার নামে গ্রুপ তৈরি করাটাও বেশ বুদ্ধিমানের কাজ হতে পারে। তবে অনলাইন বিজনেসের ক্ষেত্রে ব্যবসায়িক পেজ থাকার সুবিধাটাই গ্রাহকদের জন্য সেরা ৷ কারণ পেজে অনেকজন অ্যাডমিন থাকার সুবাদে অনেকজন মিলে পেজ ম্যানেজ করা সহ বিজনেসের যাবতীয় প্রচার-প্রচারণা করতে পারে।  


আপনার ব্যবসায় আপনার অডিয়েন্সের কাছে একদম অপরিচিত হলেও পেইজে নিয়মিত সক্রিয় থাকার ফলে ক্রেতাসাধারণের কাছে আপনার ব্যবসায় বিশ্বস্ততা অর্জন করবে। এক্ষেত্রে বিশ্বস্ততা এবং গ্রাহক বৃদ্ধির জন্য প্রতিদিন ফেসবুক পেজটিতে কমপক্ষে ৩টি করে পোস্ট দেওয়া যেতে পারে। তার মধ্যে একটি প্রোডাক্ট রিলেটেড পোস্ট হতে পারে। যেখানে আপনার প্রোডাক্টটি কীভাবে অডিয়েন্সদের কাছে গ্রহণযোগ্য হতে পারে, তা তুলে ধরতে পারেন। সেই সাথে চাইলে সপ্তাহের একদিন ইনফোগ্রাফিকস ধরনের পোস্ট করা যায়! তবে ৩দিন পর পর কোন একটি পোস্টে আপনার ব্যবসার কথা বলা গেলেও সরাসরি প্রোডাক্ট সেলিংয়ের কথা না বলে ইন্ডাইরেক্টলি আপনার সার্ভিস সম্পর্কে বলতে পারেন৷ এতে কোনো ঝুঁকি থাকবে না! চেষ্টা করবেন পোস্টগুলি যেনো মানুষের জন্য উপকারী এবং আপনার ব্যবসায় সম্পর্কিত হয়ে থাকে। এর ফলে আপনার অডিয়েন্স আপনার প্রোডাক্ট বা সার্ভিসের সাথে নিজেকে রিলেট করতে পারবে এবং আপনার প্রোডাক্ট নিয়ে তার মধ্যে একটি বায়িং কিউরিওসিটি কাজ করবে। যেখান থেকে সেলস জেনারেট হওয়ার সম্ভাবনা সবচেয়ে বেশি থাকে। তাই বলাই যায় ফেসবুক প্রোফাইলের দ্বারা অনলাইন বিজনেস খুব সহজেই ঘরে বসেই করা যায়, যা আপনার অনলাইন ব্যবসায়ের উন্নতিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। 


এইবার চলুন ই-কমার্স ওয়েবসাইটের ক্ষেত্রে ফেইসবুক অ্যাডস বা মার্কেটিং কীভাবে কাজ করে সে-সম্পর্কেও একটু জেনে নেওয়া যাক! কেননা বর্তমানে ব্যবসায় ই-কমার্স বিজনেস পুরো অনলাইন বিশ্বকে দখল করে নিয়েছে। তাই আপনার ই-কমার্স অনলাইন ব্যবসায়ের জন্য ফেসবুক অ্যাডসের গুরুত্বগুলো জেনে নেওয়া খুব দরকার। চলুন তাহলে বিস্তারিত জেনে নেওয়া যাক -


ডেটা সংগ্রহ


আপনি যদি অনলাইনে ব্যবসায় করতে চান অথবা আপনি যদি অ্যাডভান্স মার্কেটিং করতে চান তবে ব্যবসার সেলস বৃদ্ধির জন্য আপনাকে ফেসবুক মার্কেটিং করতে হবে। এটি শুধুমাত্র সেলসই তৈরি করে না, ভবিষ্যতের ওয়েবসাইট বা মার্কেটিংয়ের জন্য ডেটাও সংগ্রহ করে। এই ডেটা অ্যানালাইসিস করে, নির্দিষ্ট গ্রাহকদের কাছে বারবার পৌঁছানোর জন্য উপযুক্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া যেতে পারে। মার্কেটিং করে যদি আপনার কোন রিটার্ন না আসার সম্ভাবনা থাকে তবে ফেসবুকের এই স্ট্র্যাটেজিক ক্যাম্পেইন আপনার জন্য হতে পারে একটা পারফেক্ট সল্যুশন। ফেইসবুক মার্কেটিংকে বেছে নিতে হলে আপনাকে অবশ্যই ডেটা সংগ্রহের উপায় সম্পর্কে ভালোভাবে জেনে নিতে হবে। তাহলে এতে করে আপনি এক্সট্রা সুবিধা পেতে পারেন। না হলে রিটার্ন ক্লায়েন্ট আসার সম্ভাবনা পুরোপুরি নাও থাকতে পারে। 


ফেইসবুক মার্কেটিং নিয়ে কাজ করার সময় আপনি টার্গেটেড ক্লায়েন্টের আইডি ঘাটা-ঘাটি করে তাদের সম্পর্কে টুকটাক রিসার্চ করে নিতে পারেন। কোন বয়সের, কোন প্রোডাক্টের প্রতি তারা ইন্টারেস্টেড, পূর্বের অনলাইন বায়িং সম্পর্কে ধারণা আছে কিনা সবকিছু রিসার্চ করে নিবেন। পরবর্তীতে কয়েকটি ক্যাটাগরিতে ভাগ করে নিয়ে তাদের কাছে আবার মার্কেটিং করার প্রস্তুতি নিতে পারেন। এতে করে মোটামুটি কয়েকবার যখন আপনি তাদের কাছে পৌঁছাতে সক্ষম হবেন তখন তারা আপনার প্রোডাক্ট কেনার ব্যাপারে একটি সঠিক সিদ্ধান্তে পৌঁছাতে সক্ষম হবে। যা আপনার সেলস বহুগুণে বাড়িয়ে দিতে কার্যকরী ভূমিকা পালন করবে।


ওয়েবসাইট রি-টার্গেটিং 

মনে করুন, আপনার কোন বিজনেস ওয়েবসাইট বা সার্ভিস ওয়েবসাইট আছে। সেই ওয়েবসাইটে আপনি ফেসবুক মার্কেটিং করে ভিজিটর নিয়ে গেলেন। এতে করে আপনার ওয়েবসাইটের ভিজিটর তো তৈরি হয়ে গেলো, পাশাপাশি আপনার কিছু পার্মানেন্ট ভিজিটরের ডেটাবেজ তৈরি হয়ে গেলো। পরবর্তীতে আপনি সহজেই ওই ভিজিটরদের-কে আবার রি-টার্গেট করার জন্য পদক্ষেপ নিতে পারেন। কিন্তু এই সিস্টেম যদি না থাকতো তবে আপনার টার্গেটেড ক্লায়েন্ট খুঁজতে গিয়ে আপনাকে পড়তে হতো মহা ঝামেলায়। 


অ্যাডভারটাইজিং এর জন্য ফেসবুককেই কেন বেছে নিবেন?


Facebook এর অন্যতম বৈশিষ্ট্যগুলির মধ্যে একটি হলো - আপনি এখানে আপনার প্রোফাইল সহ একটি পেজ খুলতে পারেন। একটি ফেসবুক পেজের সাহায্যে আপনি একটি মার্কেটিং প্ল্যাটফর্ম হিসেবে ফেসবুক থেকে এর সর্বোচ্চ সুবিধা গুলো নিতে পারবেন। অর্থাৎ, আপনার ফেসবুক পেজ আপনার মার্কেটিংকে প্রচার করে। আপনার ব্যবসায় কিংবা কোন প্রতিষ্ঠান বা যে কোন কিছুকেই আপনি এই পেইজের মাধ্যমে হাইলাইট করতে পারেন সবার সামনে।


এই পেইজে আপনি আপনার ব্যবসায়ের বিষয় সংক্রান্ত যে কোন ধরনের কন্টেন্ট (টেক্সট, ইমেজ, ভিডিও) শেয়ার করতে পারেন। ফলে আপনার ব্যবসায়ের বিষয়ে যাবতীয় তথ্য মানুষ আপনার এই পেইজ থেকে খুব সহজেই পেয়ে যাবে। আর এই প্রক্রিয়াতেই আপনার ব্যবসায়ের সেবা বা পণ্যের ব্র্যান্ডিং ধীরে ধীরে বৃদ্ধি পাবে। আপনি ব্যবসাকে কেন্দ্র করে, যা প্রচার করতে চাইছেন, তা সম্পর্কে যাবতীয় ধারণা আপনার পেইজ থেকেই লোকে সহজে জানতে পারবে। 


এতে করে, আপনার ফেইসবুক পেইজটি মানুষের জন্য একটি নির্ভরযোগ্য সূত্র হয়ে দাঁড়াতে পারে। আবার, এই পেইজ থেকেই আপনি ফেসবুকের কিছু এক্সট্রা অপশন ব্যবহার করে এটিকে একটি ই-কমার্স স্টোরে পরিণত করতে পারেন।


একটি ফেসবুক পেজ আপনার ব্যবসায়ের প্রতিষ্ঠানকে মানুষের কাছে সবচেয়ে ভালোভাবে পরিচয় করিয়ে দিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারে। এখান থেকে যাবতীয় তথ্য আপনি যেভাবে মানুষকে পৌঁছে দিতে চাচ্ছেন ঠিক সেভাবেই আপনি আপনার কাস্টমারদের কাছে তথ্য পৌঁছে দিতে পারছেন। আপনার পণ্যের প্রচারের জন্য যে-সকল ধরনের প্রচেষ্টা আপনার নিকট আছে তার সবকিছুই আপনি এই ফেসবুক পেইজের মাধ্যমে বাস্তবে রূপ দিতে পারেন। এছাড়া এখান থেকে আপনার ব্যাবসার টার্গেট গ্রুপের সাথে সরাসরি  যোগাযোগের মাধ্যমে ভালো একটি কমিউনিটি গড়ে তুলতে পারবেন। বুঝতেই পারছেন, ফেসবুক কতটা গুরুত্বপূর্ণ আপনার ব্যবসার মার্কেটিংয়ের জন্য। ফেসবুকের আরো কিছু সুবিধা রয়েছে যা, আপনার ব্যবসায়ের অ্যাডভারটাইজিং জন্য গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। সেগুলো সম্পর্কে নিচে তুলে ধরা হলো -


১. আপনি আপনার এডসের জন্য নিজেই বাজেট সেট করতে পারবেন।


২. টার্গেটেড অডিয়েন্স আপনি আপনার ব্যবসায়ের ধরণ অনুযায়ী সিলেক্ট করতে পারবেন।


৩. বয়স, লিঙ্গ, এমনকি আপনি কোথায় কোথায় আপনার এডসটি দেখাতে চান, তা আপনি নিজেই সিলেক্ট করতে পারবেন।


৪. আপনার যদি একাধিক পণ্য থাকে, তাহলে আপনি ক্যারাসোলের মাধ্যমে একই এডসে অনেকগুলো ছবি বা ভিডিও দিয়ে আপনার এডসটি রান করতে পারেন।  


৫. আপনার এডস থেকে টোটাল সেলস অনুযায়ী মার্কেটিং স্ট্রাটেজি বিল্ডআপ করতে পারেন। 


৬. আপনি আপনার প্রয়োজন অনুযায়ী এডস রান করার পরেও এডিট করতে পারবেন।

 


এতক্ষণের আলোচনায় বুঝতে পারছেন যে, ফেসবুক অ্যাডস কীভাবে আপনার অনলাইন ব্যবসায়ের জগতকে রাঙ্গাতে পারে। বর্তমান দুনিয়া অনলাইন নির্ভর। তাই মানুষের ব্যবসায়-বাণিজ্য, কেনা-কাটাও অনলাইনকে কেন্দ্র করেই পরিচালিত হয়। আর অনলাইনের ব্যাপকতার এই যুগে আপনার অনলাইন ব্যবসায়কে পরিণত করতে ফেসবুক ও Facebook অ্যাডসের বিকল্প কিছু নেই, তার অন্যতম কারণ সারা বিশ্বের মানুষ ফেসবুকে বুঁদ হয়ে থাকে দিনের বেশিরভাগ সময়। তাই আপনি যদি আপনার অনলাইন ব্যবসায়কে বৃদ্ধি করতে চান, আপনার সেলস বাড়াতে চান, তাহলে আপনাকে Facebook ADS চালাতে হবে, কারণ ফেসবুক আপনাকে আপনার সঠিক ক্লায়েন্ট খুঁজে পেতে সাহায্য করে, আর এই কারণেই মানুষ বর্তমানে ফেসবুক মার্কেটিংয়ের দিকে প্রতিনিয়ত ঝুঁকছে। 

Comments (0)

Share

Share this post with others