পেশা হিসেবে বেছে নিতে পারেন ভিডিও এডিটিং

Created by UY LAB in Video Editing 10 Feb 2024
Share

আমরা চাইনা আপনি ভুল কাজ শিখে সময় নষ্ট করুন, আপনি যে কাজের জন্য তৈরি বা অভিজ্ঞ আপনি সেটাই বেছে নিন। কাজ হতে হবে মনের মত কি বলেন ? ভিডিও এডিটিং একটি আনন্দের পেশা। এখানে আপনি আপনার মনমতো ক্রিয়েটিভ কাজ করে অর্থ আয় করতে পারবেন। বর্তমানে ভিডিও কন্টেন্ট এর চাহিদা বৃদ্ধির সাথে সাথে ভিডিও এডিটরদের চাহিদা বৃদ্ধি পাচ্ছে। কিন্তু পর্যাপ্ত অভিজ্ঞ লোক না থাকায় দেশে এবং বিদেশে প্রফেশনালদের কদর বাড়ছে । আমরা যারা মুভি দেখতে পছন্দ করি তারা সবাই জানি এডিটিং একটি ভিডিও কে কত সুন্দর করে তোলে। স্পেশাল ইফেক্টস, ভিএফএক্স, গ্রাফিক্স ইত্যাদির সমন্বয়ে কল্পনা কে বাস্তবের মতো দেখছি।


ইউটিউব খুললেই আমরা বিভিন্ন রকমের ভিডিও ফুটেজ দেখি। ফুটেজ ধারণ করার সময় যে-রকম থাকে তা বিভিন্ন ইফেক্ট দিয়ে আকর্ষণীয় করে তোলা হয়। অনুভূতি প্রকাশের একটি অন্যতম মাধ্যম হল ভিডিও। কিন্তু ভিডিও সম্পর্কে সঠিক জ্ঞান না থাকার কারণে আমাদের অনেক কিছুই অজানা রয়ে গেছে। আমাদের আজকের লেখায়- এডিটিং কি এর ভ্যালু কেমন এবং এর ভবিষ্যৎ কি? এগুলো সম্পর্কে জানবো।কীভাবে এডিটর হওয়া যাবে সে বিষয়ে মোটামুটি আলোচনা করবো। চলুন শুরু করা যাক-


ভিডিও এডিটিং কী?


এটি একটি ক্রিয়েটিভ স্কিল, কোন ভিডিও কে গল্প এবং অনুভূতিতে রূপান্তর করার পদ্ধতি। সহজ কথায়, Video Editing হচ্ছে গল্পের প্রয়োজনে ধারণ করা ভিডিও ফুটেজ সম্পাদন করে সম্পূর্ণ গল্পে পরিণত করা। আমরা মুভিতে যে দৃশ্য গুলো দেখি সেগুলো আসলে Video Edit এর পরের ফাইনাল কাট।সাধারণভাবে এডিটিং বলতে- ভিডিও কাট, ট্রিম ও ক্লিপসমূহকে সিকোয়েন্স আকারে সাজিয়ে একটি পূর্ণাঙ্গ ভিডিওতে রূপান্তর করাকে বুঝায়। এছাড়াও অ্যানিমেশন, কালার গ্রেডিং, প্রি-প্রোডাকশন স্টোরি রাইটিং, ইত্যাদিও এর অন্তর্ভুক্ত। মূলত রেকর্ডের পর একটি ভিডিওতে প্রাণ প্রদান করেন একজন ভিডিও এডিটর। এই সময় ভিডিওতে যেকোনো পরিবর্তন থেকে শুরু করে অডিও বা মিউজিক যুক্ত করা পর্যন্ত, সকল কাজ একজন ভিডিও এডিটর করে থাকেন।


 

একজন ভিডিও এডিটর মূলত পোস্ট-প্রোডাকশনে অধিক সময় কাজ করে থাকেন। তাই ভিডিও সম্পর্কিত গুরুত্বপূর্ণ সকল টার্ম একজন ভিডিও এডিটরের জানা থাকা প্রয়োজন। এছাড়াও মোশন গ্রাফিক্স ও ভিজ্যুয়াল ইফেক্টস সম্পর্কেও ভালো ধারণা থাকা জরুরি, কেননা এসব বিষয় বর্তমানে ভিডিওতে বেশ জনপ্রিয়। 


Video Editing এর ভবিষ্যৎ


দেশে দক্ষ ভিডিও এডিটরের চাহিদা দিন দিন বাড়ছেই।এছাড়াও Video Editing জানা থাকলে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে একজন ট্রেইনার হিসেবে কাজ করতে পারবেন। পাশাপাশি অনলাইন মার্কেটপ্লেসে সার্ভিস সেল করাসহ ফাইভার বা আপওয়ার্কে প্রতিদিন অনেক জব পোস্ট হয়, সেখান থেকে কাজ খুঁজে পাওয়া সম্ভব।পড়াশোনা ও অন্যান্য পেশার পাশাপাশি এডিটিং শিখে এই পেশায় নিযুক্ত হয়ে অতিরিক্ত আয়ের উৎস বাড়াতে পারেন। বর্তমান সময়ে ভিডিও এডিটরদের প্রসার ও প্রচার দ্রুত গতিতে বাড়ছে। আমরা অনেকেই জানি, ইউটিউব থেকে অনেকেই ইনকাম করে থাকে। এই দক্ষতা কাজে লাগিয়ে  ভিডিও বানিয়ে ইউটিউব থেকে প্রতিমাসে ইনকাম করতে পারেন।তো এক্ষেত্রে বুঝাই যাচ্ছে এর ভবিষ্যৎ কেমন হতে চলেছে ।


পেশা হিসেবে নিতে হলে কি দরকার


এই প্যাশন কে পেশা হিসেবে নিতে হলে বেশ কিছু বিষয় চিন্তা করে ধাপে ধাপে এগোতে হবে । যেমন: ভিডিও এডিটিং পুরোপুরি সৃষ্টিশীল একটি কাজ। আপনার আগ্রহ না থাকলে এ পেশায় আসা উচিত নয়। শেখার ক্ষেত্রে চট করে সফটওয়্যার দিয়ে শুরু করার চেয়ে আগে একটু পড়াশোনা বা রিসার্চ করে নেওয়া ভালো। পড়াশোনা এবং ভালোভাবে বিষয়টি বোঝার চেষ্টা অন্যদের চেয়ে এ ক্ষেত্রে আপনাকে এগিয়ে দেবে। ভিডিও নির্মাণের ইতিহাস থেকে শুরু করে এডিটিংয়ের বিবর্তন, ক্যামেরার শট ডিভিশন নির্ধারিতভাবে বিভিন্ন বিষয় জানা থাকলে এডিটিং বেশ আরামদায়ক হয়ে ওঠে। যে সফটওয়্যার দিয়েই যাত্রা শুরু হোক না কেন, তা আপনাকে পরিপূর্ণভাবে জানতে হবে। বর্তমানে ফেসবুক ও বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এ নিয়ে  বিভিন্ন ধরনের গ্রুপ রয়েছে। নতুন কী প্রযুক্তি আসছে বা সফটওয়্যারে ভার্সন পরিবর্তনের সঙ্গে নতুন কী ফিচার আসছে, তা সময়ের সঙ্গে জেনে নিজেকে আপডেট রাখা জরুরি। না হলে এই পেশায় গ্রহণযোগ্যতা হারানোর আশঙ্কা থাকে। 


ক্যারিয়ার


এই সেক্টরটি একটি গতিশীল ইন্ডাস্ট্রি। সময়ের সাথে সাথে এডিটরের চাহিদা দিন দিন বেড়েই চলছে। আজকাল Youtube, Facebook, tiktok জাতীয় সোশ্যাল মিডিয়ার জন্য নতুন-নতুন কর্মক্ষেত্রের সূচনা হচ্ছে। এডিটিং শেখার পরে প্রথমে জুনিয়র তারপর সিনিয়র এডিটর হওয়া যায়। আপনার পারফর্মেন্স যদি দিন-দিন ভালো হতে থাকে তবে খুব সহজেই এই সেক্টর এর হেড হওয়াও সম্ভব, এবং তার পর পুরো প্রোডাকশন হাউজের ম্যানেজার পদে ইনক্রিমেন্ট হওয়ার সম্ভবনা রয়েছে। 


উক্ত পদগুলোর বেতন সীমানা আমাদের কল্পনার বাইরে। আপনি যদি অনলাইন এবং অফলাইনে স্মার্ট ক্যারিয়ার গড়তে ইচ্ছুক হন তাহলে আপনাকে কাঙ্ক্ষিত সাফল্যে নিয়ে যাবে। অনলাইন এবং অফলাইনে প্রচুর কাজের সুযোগ থাকায় এই সেক্টর একটি গুরুত্বপূর্ণ ক্যারিয়ার চয়েজ হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হয়ে আছে। আমরা যদি নিয়মিত অনুশীলন করি পরিশ্রমের মাধ্যমে অল্প সময়ের মধ্যেই একজন প্রফেশনাল ভিডিও এডিটর হিসেবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করতে পারবো।


এডিটিং করে ইনকাম


আপনি যদি কাজ শিখতে পারেন তাহলে এই সেক্টরে টাকা আয় করা খুবই সহজ। বর্তমানে পুরো বিশ্বের পাশাপাশি বাংলাদেশও এর চাহিদা প্রচুর পরিমাণে বেড়েছে। ইউটিউব,ফেসবুক,ইনস্টাগ্রাম থেকে শুরু করে বর্তমানে টিকটক ভিডিও গুলো ভিডিও এডিটর সাহায্য সম্পাদনা করা হয়ে থাকে এবং এর থেকে প্রচুর টাকা আয় করা হচ্ছে।


 সোশ্যাল মিডিয়ার পাশাপাশি বর্তমানে অনেকগুলো ওয়েবসাইট রয়েছে যার মাধ্যমে ফ্রিল্যান্সিং এর কাজ করে টাকা আয় করা যায়। এইসব ওয়েবসাইটগুলোতে ফ্রিল্যান্সিংয়ের মাধ্যমে বিভিন্ন এডিটরেরা কাজ খুব সহজে করে অনেক টাকা আয় করে থাকে।এডিটিং এর দক্ষতা সম্পন্ন যে কেউ এসব সাইটে এডিটিং এর কাজ করে টাকা আয় করতে পারবে।সেখানে চুক্তিভিত্তিক কাজ করার বিনিময়ে টাকা পে করে থাকে। এসব কাজের মধ্যে মুভি, ড্রামা, বিজ্ঞাপন, অনুষ্ঠান, প্রমোট অ্যাডস সহ নানা ধরণের কাজ আছে। 



তো বন্ধুরা আশা করছি পোস্টটি পড়ে আমরা সবাই বুঝতে পেড়েছি Video Editing কি, ভিডিও এডিটিং কে আমরা আদৌ কি পেশা হিসেবে বেছে নিতে পারি? তবে এটা সম্পূর্ণ আপনার ওপর নির্ভর করে যে আপনি কি চান । আশা করছি পোস্টটি পড়ে আপনারা সবাই অনেক উপকৃত হবেন। আজ আমাদের এই পোস্টের মাধ্যমে জানতে পারলেন, এডিটিং হচ্ছে গল্পের প্রয়োজনে ধারণ করা বিভিন্ন ভিডিও ফুটেজ এডিট করে পরিপূর্ণ গল্পে পরিণত করা। আমরা মুভি বা সিরিজে যে সিনগুলো দেখি সেগুলো আসলে video editing এর পরের ফাইনাল কাট। ভিডিও এডিট করার স্কিল থাকলে কর্পোরেট জব থেকে শুরু করে ফ্রিল্যান্সিং- সব পর্যায়েই প্রায় কাজ করতে পারবেন।এটি বর্তমানে আমাদের দেশে অনেক চাহিদাময় একটি পেশা। ডিজিটাল এই বাংলাদেশে ভিডিও এডিটরদের ব্যাপক চাহিদা রয়েছে এবং দিন-দিন সময়ের সাথে তা আরো বাড়ছে। ইচ্ছা করলে আপনিও এটি শিখে নিজের ক্যারিয়ার গড়তে পারেন। যদি প্রপার ভাবে শিখতে পারেন তাহলে বাংলাদেশই রয়েছে বিশাল কর্মক্ষেত্রে কাজের সুযোগ। তো আর সময় নষ্ট না করে শুরু করুন আপনার ভিডিও এডিটিং দুনিয়ার যাত্রা।


Comments (0)

Share

Share this post with others

অনলাইন কোর্সে ১০০% স্কলারশিপের সুযোগ

অনলাইন কোর্সে ১০০% স্কলারশিপের সুযোগ

আসন সংখ্যার উপর ভিত্তি করে ইউ ওয়াই ল্যাবের সকল অনলাইন কোর্সে পাবেন ১০০% স্কলারশিপ! আসন নিশ্চিত করতে রেজিঃ করুন এখনই।